উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা যুব লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হায়দারের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
উপজেলা যুব লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তার নির্বাচনি প্রতীক ছিল মোটরসাইকেল। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন ৩৯৭।
উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হায়দার সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তার নির্বাচনি প্রতীক ছিল দোয়াত কলম। তিনি দোয়াত কলম প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন ২৮০।
জানা যায়, ২১ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সোনারগাঁও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৬৮। এর মধ্যে ২১ মে’র নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ২০৮ টি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।নির্বাচনে সোনারগাঁও উপজেলায় মোট প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ৬৪ হাজার ২০৮। ফলে প্রদত্ত ভোটের হিসাব অনুযায়ী জামানত ফেরত পেতে হলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ১৫ শতাংশ হারে মোট ভোট পেতে হয় ২৪ হাজার ৬৩১। কিন্তু সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাচনে উপজেলা যুব লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু তার মোটরসাইকেল প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন ৩৯৭। একইভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হায়দারের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। তিনি দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৮০ ভোট।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৮৩ হাজার ৮৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আনারস প্রতীকে ৭৫ হাজার ৭৪৮ ভোট পেয়েছেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু।