নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাদিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ মোল্লার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। গতকাল রোববার সকালে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এসময় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ভোট চোর, দূর্নীতিবাজ, অবৈধভাবে চেয়ার দখলকারী স্লোগান দিয়ে চেয়ারম্যানের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ দাবি করে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ দাবী করেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভ কারীদের দাবি, ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে রাতের আধারে ভোট চুরি করে অবৈধভাবে ইউপি চেয়ারম্যানের পদ দখল করেন আব্দুর রশিদ মোল্লা। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে সাদিপুর ইউনিয়নে দখলদারিত্বসহ সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেছেন। দুর্নীতি করে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। এ ভোট চোর চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও মামলা দিয়ে বাড়িতে থাকতে দেননি।এ চেয়ারম্যানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাদিপুর ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ। অপকর্মের হোতা চেয়ারম্যানকে এ পরিষদ কার্যালয়ে আর বসতে দেওয়া হবে না। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত পরিষদের সকল কার্যক্রম করতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দেন।
সাদিপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আওলাদ হোসেন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের অত্যাচারে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাকে সাদিপুর বাসি আর দেখতে চায় না। তাকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন ইউপি সদস্য জানান, চেয়ারম্যান ক্ষমতার দাপটে কোন দিন পরিষদে সদস্যদের নিয়ে সভায় বসেননি। কোন প্রকল্প থেকে কত টাকা বরাদ্দ এসেছে তা জানতে পারিনি। তিনি একাই আত্মসাৎ করেছেন। তার বিচার দাবি করছেন তারা।
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের আমার পক্ষ থেকে কোন প্রকার মামলা বা হয়রানী করা হয়নি। এতোদিন কিছু বললো না, এখন সরকার পরিবর্তন হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, পরিষদ কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনা শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। চেয়ারম্যান নিজ দায়িত্বে পরিষদের বসতে পারলে বসবেন। এ পরিস্থিতিতে এ বিষয়ে আমার কোন নির্দেশনা নেই।