নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের দক্ষিন দামাদরদী গ্রামে হুরুন নেছা (৫০) নামে এক গৃহবধুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার মধ্য রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পরিবার দাবি করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত হুরুন নেছা উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের দক্ষিন দামাদরদী গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার স্ত্রী। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের দক্ষিন দামাদরদী গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার স্ত্রী হুরুন নেছা গত বুধবার মধ্যরাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিলে ঘরের বাইরে বের হন।পরে ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে বের হয়। এক পর্যায়ে তাকে বাড়ির পাশে টিউবওলের সামনে মাথায় ও পিঠে এলোপাতারিভাবে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে সাইনবোর্ড এলাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত হুরুন নেছার বড় ছেলে মামুন মিয়া জানান, তারা ভাঙারী ব্যবসায়ী। রাতে দুর্বৃত্তরা ভাঙারী চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় মা তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা তার মাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য তিনি দাবি জানিয়েছেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের বিষয়টি রহস্যজনক। হত্যাকান্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।