পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় আল আমিন (৪২) নামের সৌদি আরব প্রবাসীকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী ও বিক্ষোভ করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেলে শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ভিটিকান্দি এলাকায় এ মানবববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। মাবববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন নিহতের মা খায়রুন্নেসা, নিহতের স্ত্রী জুথী আক্তার, নিহতের বোন হালিমা বেগম, বাবা মো.ইসমাইল মিয়া, এলাকাবাসীর পক্ষে মোয়াজ্জেম হোসেন বুলবুল, মো. ইব্রাহিম ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট নূর জাহান বেগম প্রমুখ। মানববন্ধন কর্মসূচী শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে মিছিলটি ভিটিকান্দি এলাকা থেকে শুরু হয়ে হোসেনপুর বাজারে গিয়ে শেষ হয়। এসময় নিহতের স্বজন ওই এলাকার নারী পুরুষ অংশ নেন।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে আল আমিন নামের এক সৌদি প্রবাসীকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বালুর চর এলাকার নিয়ে যায় তার চাচাতো ভাই মো. সুজন। ওইদিন রাতে হাতুড়ি দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন শুক্রবার সকালে হত্যাকান্ডে জড়িত সুজন মিয়াকে সোনারগাঁ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় রোববার রাতে নিহত আল আমিনের বাবা মো. ইসমাইল বাদি হয়ে মেঘনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে নিহত আল আমিনের বাবা মো. ইসমাইল মিয়া বলেন, তার ছেলেকে হত্যার করে তার পরিবারকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আল আমিনের সৌদি আরবে রি-কন্ডিশন গাড়ির ব্যবসা ছিল। সেখানে তার মোটা অংকের পুঁজি বিনিয়োগ ছিল। আল আমিনকে হত্যার পর তার টাকার পয়সার কোন হিসেব পাচ্ছেন না। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত। প্রধান আসামী গ্রেপ্তার হলেও বাকিরা ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছেন। এ হত্যাকান্ড সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নিহতের স্ত্রী জুথি আক্তার বলেন, তিনি বর্তমানে ২ মাসের অন্তসত্ত¡া। তার এক সন্তানের ৫ বছর বয়স। আরেকজন অনাগত। তাদের যারা এতিম করেছে তাদের ফাঁসি দাবি করেন।
মেঘনা থানার ওসি দেলায়ার হোসেন বলেন, প্রবাসী আল আমিন হত্যাকান্ডে ঘাতক সুজনকে গ্রেপ্তার করে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছ থেকে তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। আদালতে আবারো রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।