নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকায় শাহজাহান নামের এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে রগ কেটে হত্যা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। গত সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে তিনি মারা যান। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত শাহজাহান উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা গ্রামের আল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
নিহতের মা রিনা বেগম জানান, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রাসেল হক পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে শাহজাহানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পাওনা টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্ধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে তাদের বাড়ির সামনে রাসেলের নেতৃত্বে কমল হক, বিজয় ও ইমরানসহ ৮-১০ জনের একটি দল তাকে ছুরিকাঘাত করে হাতের ও পায়ের রগ কেটে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। পরে আহত শাহজাহানকে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিবীর পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউতে) ভর্তি করে। গত সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহতের বাবা আল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর আগে পুলিশের কাছে তাদের অপকর্মের স্বাক্ষী দেওয়ার কারনে তার ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রগ কেটে হত্যা করেছে। তার ছেলে শাহজাহানের আরিয়ান নামের এক শিশু সন্তান রয়েছে। দেড় বছর আগে আরিয়ানের মা মারা যায়। এখন তার বাবা হারা হলো। এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করেন তিনি।
এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে রাসেল হকের নেতৃত্বে ওই এলাকায় একটি দল মাদক ব্যবসা, জমি দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। রাসেলকে একাধিকবার পুলিশ ও র্যাব গ্রেপ্তার করে। পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী রাসেল। এক সময় শাহজাহান তাদের মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। সেই মাদকের টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্ধ হয়। সেই টাকার জন্যই শাহজাহান খুন হয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি আব্দুল মোহাম্মদ বারী বলেন, পাওনা টাকার দেবে বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে ছুরিকাঘাত করেছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।