নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে শফিক মিয়া ও আশিক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহত শফিক মিয়ার চাচাতো ভাই আবু হানিফ ও আশিক মিয়ার মা কুলসুম বেগম বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, গোলাম দন্তগীর গাজী, আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, জৈষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান মাসুমসহ ৬৯৮জনকে আসামী করা হয়।
নিহত মিয়ার চাচাতো ভাই আবু হানিফ মামলায় উল্লেখ করেন, তার চাচাতো ভাই শফিক মিয়া গত ৪ আগষ্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিনহা গার্মেন্ট এলাকায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আগ্নোয়াস্ত্র দিয়ে ছাত্র জনতার ওপর অতর্কিত গুলি করে । এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ ঘটনায় ১৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
অপরদিকে নিহত আশিক মিয়ার মা কুলসুম বেগম মামলায় উল্লেখ করেন, তার ছেলে বিসিক শিল্প নগরীর মক্কা ইন্ড্রাষ্ট্রিজের কাজ করতেন। গত ৪আগষ্ট সাড়ে ৫টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা একজোট হয়ে শর্টগান, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর কলাপট্টি এলাকায় হামলাকারীদের ছোঁড়া গুলিতে আশিক মিয়াসহ ১৫জন আহত হয়। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় ১২২ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৩শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো. মহসিন জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কাঁচপুর এলাকায় দুইজন নিহতের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা গ্রহন করা হয়েছে। দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬৯৮জনকে আসামী করা হয়েছে।